মো.সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর কয়েকটি জেলা ঘুরে এখন বন্দরনগরী বেনাপোলে। বিনামূল্যে জাদুঘরটি দেখার সুযোগ পাওয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। জাদুঘরটির উদ্বোধনের পর এটি বিভিন্ন জেলার রেলস্টেশন ঘুরে এখন বেনাপোল রেলস্টেশনে প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বেনাপোলবাসীর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর। যে কেউ রেলস্টেশনে এসে বিনামূল্যে জাদুঘরটি দেখার সুযোগ পাবেন বলে জানান কতৃপক্ষ। জাদুঘরটি প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। বিভিন্ন জেলার রেলস্টেশন ঘুরে এখন বেনাপোল রেলস্টেশনে প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
এদিকে বেনাপোলে এ রেল জাদুঘর প্রদর্শনীর প্রথম দিনে ছিলো উপচে পড়া ভিড়। এক কামরার রেল জাদুঘরের ভেতরে সময় নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখেছে ছোট শিশু, বয়স্ক থেকে শুরু করে সকল শ্রেনীপেশার মানুষ। বেনাপোল রেলস্টেশন কতৃপক্ষ জানিয়েছেন প্রথম দিনের প্রদর্শনীতে সকাল থেকে কয়েক হাজার দর্শনার্থী রেল জাদুঘরটির ভেতর ঘুরে দেখেছে।
এ জাদুঘরে ১৯২০ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ১২টি গ্যালারির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি গ্যালারিতে ডিসপ্লের পাশাপাশি শ্রবণযন্ত্রের মাধ্যমে তৎকালীন প্রেক্ষাপটের ধারা বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে। ভিডিও চিত্রের সঙ্গে ধারা বর্ণনা শুনে নতুন প্রজন্ম ইতিহাস জানতে পারবে। জাদুঘরে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক বাড়ি,
সমাধিসৌধ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ, বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত প্রতীকী চশমা, মুজিবকোট, পাইপ, মুজিব নগর স্মৃতিসৌধ, জাতীয় শহীদ মিনার, কারাগারের রোজনামচা, বিজয়স্তম্ভ কমলাপুর ও মুজিব শতবর্ষের লোগো প্রদর্শিত হবে।
বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমান যাদুঘরটি তিন দিনের জন্য বেনাপোলে এসেছে। সকাল ৮ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।